অনলাইন ডেস্ক:
ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। প্রতিবছর জিলহজ মাসের ১০ তারিখ এ ঈদ পালিত হয়। সে হিসেবে ২১ জুলাই বাংলাদেশে পবিত্র কোরবানির ঈদ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
করোনা মহামারির কারণে এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ পালন করতে হচ্ছে। ঈদের নামাজের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বলা হয়েছে। ঈদগাহে ব্যাপক জনসমাগম করে ঈদের নামাজ না পড়ার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। তারপরও সীমিত পরিসরে ঈদের নামাজ পড়া হবে। কোরবানির ঈদের নামাজ সকাল সকাল আদায় করা হয়।
বছরে দুইবার ঈদের নামাজ পড়তে হয়। দীর্ঘসময় অতিবাহিত হওয়ার কারণে অনেকেই ঈদের নামাজের নিয়মগুলো ভুলে যান। নামাজ পড়ার সুবিধার্থে ঈদের নামাজ পড়ার নিয়মগুলো তুলে ধরা হলো-
ঈদের নামাজ দুই রাকাত। যা আদায় করা ওয়াজিব এবং জামাতে আদায় করতে হয়। ঈদের দুই রাকাত নামাজে অতিরিক্ত ছয় তাকবির দিতে হয়।
প্রথম রাকাত
আল্লাহর উদ্দেশ্যে কেবলামুখী হয়ে ঈদুল আজহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ ছয় তাকবিরের সঙ্গে ইমামের পেছনে আদায় করছি—বলে নিয়ত বাঁধতে হয়। প্রথমেই ইমামের সঙ্গে তাকবিরে তাহরিমা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নিয়ত বাঁধতে হবে। তারপর পড়তে হবে—সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআলা জাদদুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুক।
এবার ইমামের উচ্চস্বরে তিনবার তাকবির বলার সঙ্গে সঙ্গে মুসল্লিরাও মনে মনে তাকবির বলবেন। প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবির বলার সময় উভয় হাত কান বরাবর উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে। তৃতীয় তাকবিরের সময় দুই হাত কান বরাবর উঠানোর পর স্বাভাবিক নামাজের মতো হাত বাঁধতে হবে।
এরপর ইমাম সাহেব সুরা ফাতিহা এবং অন্য সুরা মিলিয়ে রুকু-সিজদা করবেন; মুসল্লিরাও ইমামের সঙ্গ রুকু-সিজদা করবেন।
দ্বিতীয় রাকাত
ইমাম সাহেব দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতিহা ও অন্য সুরা মেলানোর পর রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত তিন তাকবির বলবেন। তিনবারই হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে। এরপর রুকু-সিজদা করার পর অন্যান্য নামাজের মতোই সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ শেষ করবেন।